উত্তরপ্রদেশে ধর্মান্তর চক্রের চাঞ্চল্যকর পর্দাফাঁস: বর্ণভিত্তিক ‘রেট কার্ড’, ১০০ কোটি টাকা বিদেশি তহবিল।

নিজস্ব প্রতিবেদক


লখনউ / বলরামপুর:

উত্তরপ্রদেশে এক বিস্তৃত ও ভয়াবহ ধর্মান্তর চক্রের হদিস পেয়েছে UP ATS (অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড)। বলরামপুর থেকে চক্রের মূল মাস্টারমাইন্ড জামালউদ্দিন ওরফে চাঙ্গুর বাবা এবং তার সহযোগী নীতু রোহরা ওরফে নাসরিন-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চক্র হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তরিত করার জন্য বর্ণভিত্তিক ‘রেট কার্ড’ তৈরি করেছিল—যা শুনলে শিউরে উঠতে হয়।



🧾 বর্ণভিত্তিক ধর্মান্তরের 'দর তালিকা'

এটিএস সূত্রে জানা গেছে, জামালউদ্দিন নিজেকে “হাজী পীর জালালউদ্দিন” নামে পরিচয় দিয়ে দেশজুড়ে একটি বিশাল নেটওয়ার্ক পরিচালনা করত। তার এজেন্টরা হিন্দু মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বা অন্য কোনো উপায়ে ধর্মান্তরের প্ররোচনা দিত। এই কাজের জন্য মেয়েদের জাত অনুযায়ী টাকা নির্ধারণ করা হত:


🟢 ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয় মেয়েদের জন্য: ₹১৫-১৬ লক্ষ

🟡 দলিত মেয়েদের জন্য: ₹১০-১২ লক্ষ

🔵 অন্যান্য বর্ণের জন্য: ₹৮-১০ লক্ষ

🌍 বিদেশি অর্থ ও বিলাসবহুল জীবনযাপন

এডিজিপি (আইনশৃঙ্খলা) জানিয়েছেন, জামালউদ্দিন উপসাগরীয় দেশসহ বিভিন্ন ইসলামিক দেশে প্রায় ৪০-৫০ বার সফর করেছে। অভিযোগ, সেখান থেকেই ধর্মান্তরের কাজে ১০০ কোটি টাকারও বেশি তহবিল এসেছে। তদন্তে ৪০টিরও বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া গেছে। এই টাকা দিয়ে সে বলরামপুরে বিলাসবহুল বাংলো, দামি গাড়ি ও একাধিক শোরুমসহ বিপুল সম্পত্তি অর্জন করেছে।


🧠 মগজ ধোলাই ও প্রলোভনের ফাঁদ

চক্রটি মূলত দরিদ্র ও অসহায় পরিবারগুলিকে টার্গেট করত। কখনও বিদেশে চাকরির লোভ, কখনও অর্থের প্রতিশ্রুতি, আবার কেউ রাজি না হলে মিথ্যা মামলার হুমকি—এসব ছিল তাদের পন্থা। ইসলাম প্রচারের জন্য জামালউদ্দিন নিজেই 'শিজার-ই-তৈয়বা' নামে একটি বই লিখেছিল।

📌 ধর্মান্তরের কয়েকটি উদাহরণ

🟥 মুম্বাইয়ের সিন্ধি পরিবার:

নবীন ঘনশ্যাম রোহরা, তার স্ত্রী নীতু এবং তাদের মেয়েকে মগজ ধোলাই করে ধর্মান্তরিত করা হয়। পরে তাদের নাম হয়—জামালউদ্দিন, নাসরিন, ও সাবিহা।


🟥 লখনউয়ের গুঞ্জা গুপ্তা:

‘অমিত’ নামে এক মুসলিম যুবক প্রেমের ফাঁদে ফেলে গুঞ্জাকে চাঙ্গুর বাবার দরগায় নিয়ে যায়। সেখানে মগজ ধোলাইয়ের পর তার নতুন নাম রাখা হয় আলিনা আনসারি।

🕸 সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ভয়ংকর নেটওয়ার্ক

এটিএস জানিয়েছে, জামালউদ্দিনের চক্র শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, সারা ভারত জুড়েই বিস্তৃত। এটি শুধু আইনশৃঙ্খলার জন্যই নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তা ও সামাজিক সম্প্রীতির পক্ষেও মারাত্মক হুমকি। এখন পর্যন্ত দুজন গ্রেফতার হলেও, গোটা চক্রের সমস্ত স্তর উন্মোচনের জন্য তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এডিজিপি জানিয়েছেন, আরও অনেককেই খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হতে পারে।

এই ঘটনা দেশব্যাপী ধর্মান্তরের পেছনে থাকা একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রকে স্পষ্ট করে দেয়। প্রশাসন ও সমাজের প্রতিটি স্তরে এ নিয়ে সতর্কতা ও সচেতনতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।


Comments